জানা অজানা সকল কিছু! জানতে সাথেই থাকুন।

Pages

Friday, February 15, 2019

মায়াজালের মনিটাইজেশন বন্ধ | Youtube channel Mayajal Lost Monetisation

প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে মায়াজাল চ্যানেলটি নিয়ে এতো বিতর্ক কেন? আসলে মায়াজাল নতুন একটা ট্রেন্ড সৃষ্টি করেছিলো যেটা দর্শকদের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য হয়েছিলো এবং সে প্রথমে ট্রেন্ডটি ধরতে পারার কারণে চ্যানেলটি দ্রুত সফলতা পেয়েছে। তার দ্রুত সফলতাই অন্য ইউটিউবারদের সেই ধরণের কাজ করতে আগ্রহী করে তোলে ফলশ্রুতিতে অসংখ্য ‘মায়াজাল টাইপ’ চ্যানেলের তৈরী হয় এবং অনেকে সফলও হয়েছেন।
মায়াজালের মনিটাইজেশন বন্ধ | Youtube channel Mayajal Lost Monetisation
মায়াজাল নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের কারণ ফেয়ার ইউজ আইটেমে বা প্রায় কপি করা আইটেমে মনিটাইজেশন নিয়ে। মায়াজাল অনেকদিন থেকেই মনিটাইজেশন অন ছিলো এবং সম্প্রতি সেখানে কোন বিজ্ঞাপণ দেখা যাচ্ছেনা বিধায় অনেক দর্শক/ক্রিয়েটররা ধরে নিয়েছেন যে মায়াজালের মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের তিনটি পিসিতে রিমোটলি এক্সেস করে এর সত্যতা পেয়েছি। সুতরাং প্রাথমিকভাবে ধরে নেয়া যায় যে মায়াজালের মনিটাইজেশন এখন ইউটিউব থেকেই বন্ধ। কারণ ইচ্ছাকৃত মনিটাইজেশন বন্ধ রাখার কোন কারণ আছে বলে আমি মনে করিনা।
তাহলে কেন বন্ধ হলো, এটিই এখন বিতর্কের মুল বিষয়। আমি কোন রেফারেন্সের বিষয় এখানে বলবোনা তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলবো। আমার প্রায় হাফ মিলিয়নের একটা অফিশিয়াল চ্যানেল আছে, সেটার মনিটাইজেশন কয়েকদিন আগে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিলো রিইউজড কনটেন্ট। আমার চ্যানেলটির ধরণের কারণেই ১-২% পরিমান রিইউজড কনটেন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে। আমার মনিটাইজেশন বন্ধ হওয়ার পরবর্তীতে যথাযথ কারণ দেখিয়ে ১৭ ঘন্টার মধ্যেই মনিটাইজেশন ফেরত পাই। তবে রিইউজড কনটেন্টগুলো ফেলে দিতে হয়েছে। উল্লেখ্য আমার সকল কনটেন্ট ফেসবুকে প্রথমে আপলোড হয় তারপর ইউটিউবে আপলোড করা হয়।
মায়াজালের মনিটাইজেশন কেন বন্ধ হয়েছে তার সঠিক কারণ আমরা কেউই জানিনা বা এর ক্রিয়েটর কোন বিবৃতি না দেয়া পর্যন্ত পরিষ্কার হওয়া সম্ভব নয়। রিইউজড কনটেন্ট এর জন্য যেহেতু আমার একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং সেই সূত্র অনুযায়ী একই কারণে মায়াজালের মনিটাইজেশন বন্ধ হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। তবে এটি নিশ্চিত কোন বক্তব্য নয়।
কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে মায়াজালের মনিটাইজেশন বন্ধ হয়েছে এটা টের পাওয়ার সাথে সাথে কিছু হিট সিকার ইউটিউবার এটার মনিটাইজেশন বন্ধ কেন হলো তা নিয়ে ‘হাইস্যকর’ ভিডিও বানানো শুরু করে দিয়েছে। কখনো বলছেন ‘আর্টিকেল ১৩’ এর কথা আবার কখনো বলছেন ফেসবুকে শেয়ারের কারণে হয়েছে। অথচ ‘আর্টিকেল ১৩’ একটি প্রস্তাবিত আইন মাত্র, যার কোন বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। আর ফেসবুক শেয়ার দিলে কোন সমস্যা হওয়ার কোন কারণ নেই তার বড় প্রমাণ আমার চ্যানেল, এবং লজিক্যালিও তা সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয় তা ব্যাখ্যা করতে গেলে আরেকটা পোষ্ট দিতে হবে। দয়া করে এসব বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। যতটুকু নিশ্চিত জানেন ততটুকুই জানান। যা জানেন না তা নিয়ে বলবেন না। ‘আর্টিকেল ১৩’ নিয়ে ছোট করে একটু বলি। এই আইনটি ইউরোপিয় জোনের জন্য, আইনের মুল কথা হচ্ছে আগে ক্রিয়েটর চোরদের ইউটিউবের মাধ্যমে সাজা দিতো, এখন ক্রিয়েটর সরাসরি ইউটিউবকেও দায়ী করতে পারবে চোরাই কনটেন্ট হোস্টের দায়ে। মানে ইউটিউবেরও জরিমানা দিতে হবে। এর মার্কেট ইম্প্যাক্ট ইউরোপিয়ান কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আসলেই ভয়াবহ হতে পারে, আমাদের জন্যও এর খারাপ প্রভাব থাকবে। যারা অনেক বড় বড় ক্রিয়েটর যেমন টি-সিরিজ, ফক্স মুভিজ এদের জন্য পোয়াবারো হবে। ছোট কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পেটে লাথি পড়ার মতো অবস্থা হবে। কিভাবে এই প্রভাব হবে তা ব্যাখ্যা এই পোষ্টে সম্ভব নয়।
এমতাবস্থায় আমাদের কি করা উচিত? সোজাসাপ্টা বলতে গেলে মায়াজালের মতো করে ভিডিও বানানো ত্যাগ করুন। নিজের মেধা খাটিয়ে এ ধরণের ভিডিওতে উপস্থাপনা, ক্যামেরা ভিডিও, ভিডিও ম্যাসিড এডিট, টুডি এন্ড থ্রিডি এনিমেশন, হাই কোয়ালিটি স্লাইড এই সবের সমন্বয়ে তারপর করুন যাতে আপনার ভিডিওটি সম্পূর্ণ ইউনিক হয় এবং কোথাও থেকে কারো কপি বলে মনে না হয়। ভিডিও ম্যাসিভ এডিট কিভাবে করে সেটিও অন্য পোষ্টে আলোচ্য বিষয় বটে। মায়াজালের ক্রিয়েটরকে আমি তৎসময়ের জন্য সমর্থন করি। তার মেধা দিয়ে তিনি একটি ট্রেন্ড সৃষ্টি করেছিলেন যা অনেক দর্শকদের জন্য জ্ঞানের খোরাক হয়েছে আবার অনেক নতুন ক্রিয়েটরও সৃষ্টি করেছে। তখন যেমন সময় ছিলো তিনি সেভাবে করেছেন। এখন সময় ও আইন পরিবর্তন হয়েছে, তিনিও হয়তো পরিবর্তন হবেন। নিশ্চই তার একমাস পর পুনরায় আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আবার মনিটাইজেশন নিয়ে তিনি যদি সরাসরি চিন্তা নাও করেন তাহলেও এই ২ মিলিয়নের কমিউনিটিও একটি বিশাল সম্পদ বটে। এ ধরণের ভিডিও দর্শক সবসময়ই ছিলো এবং থাকবে, কিন্তু ক্রিয়েটরদের আইন ও পারিপার্শিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্মরণ রাখবেন যে, সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়াই এখন গুজব সংক্রান্ত সংবাদকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। তাই এমন কোন কনটেন্ট বানাবেন না যেটা রিপোর্ট করা যাবে বা রিভিউতে গুজব বলে বিবেচিত হবে। সবাই ভালো থাকবেন।
হ্যাপি ইউটিউবিং
Post By -


কামরুল ইসলাম রুবেল


Share:

1 comments:

  1. আপনি কি ঘুমিয়ে আছেন ভাই? মায়াজাল চ্যানেল শুধু মনিটাইজেশন ফেরতই পাননি, এখন তার চ্যানেল এ ৫ মিলিওনের অধিক সাবস্ক্রাইবার এবং প্রতিনিয়ত তার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখায়। কী বিপুল অর্থ সে ইনকাম করছে ‘রি- ইউজড’ কনটেন্ট দিয়ে তা আপনি একটু ঘাটাঘাটি করলেই জানতে পারবেন

    ReplyDelete

Hot Deals